ইবলিস শয়তান সম্পর্কিত কিছু চমকপ্রদ তথ্য, যা শুনলে আপনি থ হয়ে যেতে পারেন

শিল্পীর কল্পনায় ইবলিশ শয়তান
লেখক - মোমিন শেখ
ইসলাম ধর্মে ইবলিশ নামটি খুবই পরিচিত একটি নাম। মুসলিম-অমুসলিম প্রায় সকলেই ইবলিশ শয়তানের নাম শুনেছে। ইবলিশ সম্পর্কে জানেনা এমন লোক খুব কম পাওয়া যাবে। তবে আজকে ইবলিশ সম্পর্কে একটু নিরেপক্ষ এঙ্গেল থেকে জানবো।

১। ইবলিসের পিতার নাম খবিস। খবিস ছিলেন বাদশা হামুসের পুত্র। তার আকৃতি ও স্বভাব ছিলো সিংহের ন্যায়। এবং ইবলিশের মায়ের নাম নিলবিস। নিবলিশও বাদশা হামুসের কন্যা। তার স্বভাব ছিলো নেকড়ের ন্যায় ভয়ংকর। একটি বর্ণনায় আছে, জাহান্নামের আগুনের ভেতর খবিশ ও নিবলিশের যৌনমিলনের ফলে ইবলিশের জন্ম হয়। কিন্তু কি কারনে তারা জাহান্নামে ছিলো সে কারন অজ্ঞাত।

২। জিন জাতিদের ধ্বংসের সময় ফেরেস্তারা যখন ইবলিসকে আসমানে নিয়ে যায় তখন ইবলিসের বয়স ছিল এক হাজার বছর। নিজের ইবাদত শেষে তিনি ফেরেস্তাদের উদ্যেশে ওয়াজ-নসিয়ত ও করতেন। ফেরেস্তারা তা শুনে মুগ্ধ হয়।

৩। ইবলিস ছিল সমস্ত ফেরেস্তাদের ওস্তাদ বা দলনেতা। ফেরেস্তারা জীন জাতিকে হত্যার পরও পৃথিবীতে বনে জঙ্গলে কিছু জীন থেকে গিয়েছিলো। তাদের বংশবৃদ্ধির পর আল্লাহ ইবলিশকে তাদের নবী হিসেবে প্রেরণ করে। কিন্তু কোনো জীন তাকে চ্যাটের দাম দেয় নি। অর্থাৎ তার কথা কেউ শোনেনি। :D

৪। ইবলিস নিঃসন্দেহে আল্লাহর চেয়েও জ্ঞানী ও বুদ্ধিমান। অনেক ফেরেস্তা ও ইবলিস আল্লাহকে মানুষ বানাতে নিষেধ করেছিল, সাবধান করেছিল। আল্লাহ সেটা না শুনে মানুষ বানিয়ে চ্যালেঞ্জে হেরে গিয়েছিল। আল্লাহ তখন রাগ করে ইবলিস আর আদম হাওয়াকে পৃথিবীতে পাঠিয়ে দিয়েছিল।

৫। ইবলিস ছিল জিন জাতির শেষ নবী। জিনদের দুর্ভাগ্য, তারা তাদের শেষ নবীকে পাত্তাই দেয়নি। তখন তাদের ধ্বংস করা হয়। তবে যারা ঝোপ-ঝাড়ে মশা-মাছির মত লুকিয়ে ছিলো তারা বংশবৃদ্ধি করে ফেলে। আর এ কারনেই ২০১৮ সালে এসে আমাদের জিনের ঝামেলা পোহাতে হয়। কারো ঘাড়ে লাগে, কাউকে আবার রেপও করে।

৬। ইবলিস একাধারে ৬ লক্ষ ৫০ হাজার বছর আল্লাহর ইবাদত করেছিল। কিন্তু বিনিময়ে সে আল্লাহর কাছ থেকে পেয়েছে "শয়তান" নামক নিকৃষ্ট উপাধি।

৭। আল্লাহর একটি হুকুম অমান্য করার কারনে ইবলিস চির অভিশপ্ত শয়তান হয়ে যায়। অথচ, ইবলিশ একমাত্র ফেরেশতা যে আল্লাহ ছাড়া কাউকে সেজদা না করার শপথ করেছিল, এবং তার শপথ পালন করেছিল।

৮। ইবলিস মানুষের শিরা উপশিরায় প্রবেশ করে ধোঁকা দিতে পারে। এমনকি সে বান্দাদের নাকের ভেতরও অবস্থান করে। তখন আল্লাহ বা তার ফেরেস্তারাও কিছু করতে পারে না।

৯। ইবলিসের বুদ্ধি অবশ্যই আল্লাহর চেয়েও বেশী। বেহেস্ত থেকে তাড়িয়ে দেয়ার পরও সে আল্লাহর চোখকে ফাঁকি দিয়ে আদম হাওয়াকে গন্দম ফল খাওয়াতে পেরেছিল। তাছাড়া পৃথিবীর ৯৯ ভাগ মানুষ তার অনুসারী। বাকি মানুষ আল্লাহর অনুসারী। কি বুঝলেন?

১০। ইবলিস বিয়েসাদি করে নাই। চিরকুমার। তার কোন পরিবার সন্তানাদি নাই। তবে সে ব্যাচেলারদের যৌন যন্ত্রনা ভালোই উপলব্ধি করে। কারণ মানুষ রেপ তো ইবলিশের ধোকায় পড়েই করে। প্রমাণঃ- কিছুদিন আগে একজন ঈমাম সাহেব ছোট্ট বাচ্চাকে রেপ করে বলেছে শয়তানের ধোকায় এ কাজ করেছি।


১১। আল্লাহ এক লক্ষ চব্বিশ হাজার নবী, রসুল পাঠিয়েও মানুষকে তার কথামত চালাতে পারেননি। এখনো পৃথিবীর ৯৯% মানুষ সঠিকভাবে আল্লাহর নির্দেশ মেনে চলেনা। সবাই শয়তানের কুমন্ত্রনায় চলে। কারন, মানুষ বুঝতেই পারেনা, কোনটা সহী এবং আসল সরল সোজা পথ।

১২। পৃথিবীতে ইবলিসের রাজত্ব চলে। তার বুদ্ধিতেই পৃথিবীর সব খারাপ কাজ হয়। কিন্তু সবকিছু জেনেও আল্লাহ নিরব ভুমিকা পালন করে চলেছে। এসব নাটক বাদ দিয়ে সুস্থ মস্তিস্কে অন্য কিছু ভাবা উচিৎ ছিলো।

১৩। মুসলিমদের আল্লাহর উপর ভরশা সবচেয়ে কম। এরা আল্লাহর কাছে বিচার না চেয়ে ইবলিসের অনুপ্রেরণায় নানারকম কাজ করে, ইহুদী নাসারাদের কাছে রিপোর্ট করে।

১৪। ইবলিস কেয়ামত পর্যন্ত জীবিত থাকবে। তাকে কেউ, এমনকি আল্লাহও মারতে পারবে না।

সূত্রঃ আল কোরআন, সহী হাদিস এবং তাফসির।
Previous Post
Next Post
Related Posts

2 comments:

  1. ১৪ নাম্বারের 'তাকে কেউ এমনকি আল্লাহও মারতে পারবেনা'এই উক্তিটির রেফারেন্স কি?

    ReplyDelete
  2. যারা এই রচনাটি পড়েছেন তাদেরকে বলছি,ইবলীশ হচ্ছে খবিছ ও নিবলিশের সন্তান,যার অপর নাম মোমিন শেখ,যে এই লেখাটি লিখেছে।

    ReplyDelete