প্রেমের স্বাধীনতার ক্ষেত্রে ইসলামী নিষ্ঠুরতা

প্রেম ও যৌনতা মানুষের মৌলিক চাহিদা
একজন মানুষ সে নারী বা পুরুষ যে লিঙ্গেরই হোক বা কেন যখন প্রাপ্তবয়স্ক হয় তখন সে প্রেমসঙ্গীর আকাঙ্ক্ষা অনুভব করে, এই প্রেম সঙ্গী হতে পারে তার সমলিঙ্গের অথবা তার বিপরীত লিঙ্গের। বিশ্বের প্রত্যেকটি সভ্য দেশে প্রতিটি নারীপুরুষ প্রাপ্তবয়স্ক হলেই তাদের নিজের পছন্দমত প্রেমসঙ্গী বাছাই করার স্বাধীনতা রাখে; অথচ মুসলিমসংখ্যাগরিষ্ঠ দেশসমূহে মানুষের প্রেমসঙ্গী স্বাধীনভাবে নির্বাচন করার অধিকার তো দূরের কথা; প্রেম বা যৌনতা নিয়ে প্রকাশ্য আলোচনা করাই একটা নিষিদ্ধ বিষয়।


প্রেম এবং যৌনতা হচ্ছে মানুষের অন্যতম মৌলিক চাহিদা, ইসলামের প্রবর্তক মোহাম্মাদ নিজেও বহু নারীর দেহভোগ করেছেন, তার অনুসারীদেরকে দিয়ে যুদ্ধবন্দিনী সম্ভোগ করিয়েছেন অথচ মোহাম্মাদ তার বানানো আইনে নারীদের স্বাধীনতা কিংবা নারীদের ইচ্ছা/সম্মতিকে প্রাধান্য দেননি, চালু করেছিলেন পুরুষতান্ত্রিক বিয়ে যেখানে পুরুষের সব প্রাধান্য; আর্থিক দিক দিয়েও আবার যৌনতার দিক দিয়েও এবং মোহাম্মাদ সমকামিতাকেও নিষিদ্ধ করেছিলেন।

সূরা আল-আরাফ এর ৮০ থেকে ৮১ আয়াত দেখুনঃ

"এবং আমি লূতকে প্রেরণ করেছি। যখন সে স্বীয় সম্প্রদায়কে বললঃ তোমরা কি এমন অশ্লীল কাজ করছ, যা তোমাদের পূর্বে সারা বিশ্বের কেউ করেনি ?"

"তোমরা তো কামবশতঃ পুরুষদের কাছে গমন কর নারীদেরকে ছেড়ে। বরং তোমরা সীমা অতিক্রম করেছ।"

যদিও মোহাম্মাদের এই লূত নবীর কাহিনী ইহুদী-খ্রিষ্টান ধর্ম থেকে ধার করা, কিন্তু তাও মোহাম্মাদ সমকামিতার বিরোধিতা করতেন তা আপনাদের কাছে আমি পরিষ্কারভাবে বুঝাচ্ছি আরো কয়েকটি তথ্যসূত্রের মাধ্যমে। যেমনঃ সূরা আশ-শোয়ারার ১৬৫ আর ১৬৬ নং আয়াত সমকামিতা সম্পর্কেই

" সারা জাহানের মানুষের মধ্যে তোমরাই কি পুরূষদের সাথে কুকর্ম কর?"

" এবং তোমাদের পালনকর্তা তোমাদের জন্যে যে স্ত্রীগনকে সৃষ্টি করেছেন, তাদেরকে বর্জন কর? বরং তোমরা সীমালঙ্ঘনকারী সম্প্রদায়।"

কোরআনের ২৭নং সূরা আন-নমলের ৫৪ থেকে ৫৭ নম্বর আয়াতঃ

"স্মরণ কর লূতের কথা, তিনি তাঁর কওমকে বলেছিলেন, তোমরা কেন অশ্লীল কাজ করছ? অথচ এর পরিণতির কথা তোমরা অবগত আছ! তোমরা কি কামতৃপ্তির জন্য নারীদেরকে ছেড়ে পুরুষে উপগত হবে? তোমরা তো এক বর্বর সম্প্রদায়। উত্তরে তাঁর কওম শুধু এ কথাটিই বললো, লূত পরিবারকে তোমাদের জনপদ থেকে বের করে দাও। এরা তো এমন লোক যারা শুধু পাকপবিত্র সাজতে চায়। অতঃপর তাঁকে ও তাঁর পরিবারবর্গকে উদ্ধার করলাম তাঁর স্ত্রী ছাড়া। কেননা, তার জন্যে ধ্বংসপ্রাপ্তদের ভাগ্যই নির্ধারিত করেছিলাম।" 

আয়াতটিতে শুধু নারীরাই ভোগ্যবস্তু এরকমটা বোঝানো হয়েছে যা স্পষ্টঃতই নারীঅবমাননা।

একটি হাদীস দেখুন এই ব্যাপারেঃ

"ইবনে আব্বাস বলেন, রসুল (সঃ) বলেছেন, তোমরা যদি কাউকে পাও যে লুতের সম্প্রদায় যা করতো তা করছে, তবে হত্যা করো যে করছে তাকে আর যাকে করা হচ্ছে তাকেও।" (আবু দাউদ, ৩৮ঃ৪৪৪৭)

বর্বর মোহাম্মাদ সমকামিতার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড করে রেখে গিয়েছিলেন যা আজ সৌদি আরব, ইরানের মত অসভ্য দেশগুলোতে পালিত হয়।

মোহাম্মাদ যদিও প্রেম করে বিয়ে করার (বিপরীত লিঙ্গের কাউকে) বিরুদ্ধে সরাসরি কিছু বলেননি কিন্তু যেহেতু ইরান কিংবা সৌদি আরবে প্রেম করলে যিনার দোষ দেওয়া হয় তাই এ সম্পর্কিত কোরআনের এবং হাদীসের উদ্ধৃতি দেখাচ্ছিঃ

সূরা আল-মায়িদার ৫ নং আয়াতঃ

"তোমাদের জন্য হালাল সতী-সাধ্বী মুসলমান নারী এবং তাদের সতী-সাধ্বী নারী, যাদেরকে কিতাব দেয়া হয়েছে তোমাদের পূর্বে, যখন তোমরা তাদেরকে মোহরানা প্রদান করো তাদেরকে স্ত্রী করার জন্যে, কামবাসনা চরিতার্থ করার জন্যে কিংবা গুপ্ত প্রেমে লিপ্ত হওয়ার জন্যে নয়"

আয়াতটির শেষ কথা দেখুন 'গুপ্ত প্রেম' অর্থাৎ নর-নারীর সম্মতিমূলক পারস্পরিক প্রেম-ভালোবাসার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।

আবার দেখুনঃ

"মুমিনদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে নত রাখে এবং তাদের লজ্জা স্থানের হেফাজত করে। এতে তাদের জন্য খুব পবিত্রতা আছে। নিশ্চয়ই তারা যা করে আল্লাহ তা সম্পর্কে অবগত আছেন। " (সূরা নূর : ৩০) 

দৃষ্টি নত রাখলে কিভাবে একজন মানুষ তার প্রেমসঙ্গী নির্বাচন করবে? এখানেও নিষেধাজ্ঞা।

আবার নিম্নোক্ত আয়াতটি দেখুনঃ

"হে, নবী পত্নীগন! তোমরা অন্য নারীদের মতো নও; যদি তোমরা আল্লাহকে ভয় করো, তবে পরপুরুষের সাথে কোমল ও আকর্ষণীয় ভঙ্গিতে কথা বলো না, ফলে সেই ব্যক্তি (পরপুরুষ) কুবাসনা করে,যার অন্তরে ব্যাধি রয়েছে, তোমরা সঙ্গত কথাবার্তা বলবে। "(সূরা আল-আহযাব : ৩২) 

'কুবাসনা', 'ব্যাধি' দ্বারা এখানে স্পষ্টঃতই প্রেমের প্রতি অবমাননা করা হয়েছে।

কোরআনের সূরা বনী-ইসরাইলের ৩২ নং আয়াত দ্বারাও একভাবে প্রেমের বিরোধিতার প্রমাণ পাওয়া যায়ঃ

"আর ব্যভিচারের কাছেও যেও না। নিশ্চয় এটা আশ্লীল কাজ ও মন্দ পথ"। (সূরা বনী-ইসরাইল : ৩২) 

আবদুল্লাহ ইবনু মাসুদ (রাঃ) হতে বর্নিত, রাসুল (সাঃ) বলেছেন, "হে যুবসমাজ, তোমাদের মধ্যে যারা বিয়ের সামর্থ্য রাখে, তাদের বিয়ে করা কর্তব্য। কেননা বিয়ে দৃষ্টি নিয়ন্ত্রণকারী, যৌনাঙ্গের পবিত্রতা রক্ষাকারী। আর যাদের সামর্থ্য নেই তারা যেন সিয়াম পালন করে। কেননা সিয়াম হচ্ছে যৌবনকে দমন করার মাধ্যম।" (বুখারী, মুসলিম, মিশতাক হা/৩০৮০ নিকাহ অধ্যায়) 

দেকুন উপরের হাদীসটি ভালো করে এখানে মোহাম্মাদ পুরুষতন্ত্রবাদী বিয়ের প্রতি গুরুত্বারোপ করছেন, প্রেম করে বিয়ে করার প্রতি নয়।

আবার দেখুনঃ

হুজুর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ “লালসার দৃষ্টি চোখের ব্যভিচার, লালসার বাক্যালাপ জিহবার ব্যভিচার, কামভাবে স্পর্শ করা হাতের ব্যভিচার, এ উদ্দেশ্যে হেঁটে যাওয়া পায়ের ব্যভিচার, অশ্লীল কথাবার্তা শুনা কানের ব্যভিচার, কামনা বাসনা মনের ব্যভিচার, গুপ্তাঙ্গ-যা বাস্তবে রূপদান করে কিংবা দমন করে।”(বোখারী, মুসলিম, আবু দাউদ, তিরমিযি) 

এখানে কিন্তু মোহাম্মাদ প্রেম করার কথাই বুঝিয়েছেন।

"আল্লাহ তোমাদের (মানব জাতির) মধ্য থেকেই সৃষ্টি করেছেন তোমাদের জন্য (বিপরীত লিঙ্গের) জুড়ি, যাতে করে তোমরা বৈবাহিক সম্পর্ক স্থাপনের মাধ্যমে তাদের কাছে প্রশান্তি লাভ করতে পারো। এ উদ্দেশ্যে তিনি তোমাদের মধ্যে সৃষ্টি করেছেন হৃদ্যতা- বন্ধুতা আর দয়া-অনুগ্রহ-অনুকম্পা। এতে রয়েছে বিপুল নিদর্শন চিন্তাশীল লোকদের জন্য। ”(সূরা আর-রুম : ২১) 

উপরোক্ত কোরআনের আয়াতেও রক্ষণশীল এবং পুরুষতান্ত্রিক বিয়ের পক্ষে কথা বলা হয়েছে। নারীদেরকে বোরকা পরতে বলা হয় তাদের চেহারা গোপন রাখার জন্যেই, এখানেও প্রেমের বিরোধিতার আভাস পাওয়া যায়।

লেখকঃ সোমা আজাদ (ছদ্মনাম)
Previous Post
Next Post
Related Posts

24 comments:

  1. লেখগুলো কি একটু বেশিই সংক্ষিপ্ত হয়ে গেলোনা? আরো বড় করা উচিৎ ছিলো। যাই হোক, সুন্দর হয়েছে।

    ReplyDelete
  2. হুমায়ুন আজাদের 'নারী' বইটি সবার পড়া উচিৎ। বইটি পড়তে এই লিংকে যানঃ http://myallbooks.weebly.com/books/nari-by-humayun-azad

    ReplyDelete
    Replies
    1. হ্যাঁ, নারী বইটি অবশ্যই সবার পড়া উচিৎ, বইটি নারীদের জন্য লেখা হলেও বাংলাদেশের নারীরা অধিকাংশই এই বইটি পড়েনি এমনকি নাস্তিক মেয়েদের মধ্যেও এই বইটি বেশি পড়া হয়নি, নাস্তিক ছেলেরাই বইটি বেশি পড়েছে, তবে যারা বইটি পড়েছে তারা কি হুমায়ুন আজাদের কথা বুঝতে পেরেছি, হুমায়ুন আজাদ যৌন-স্বাধীনতার সমর্থক ছিলেন, তার অন্যান্য বই পড়লে টের পাওয়া যায়, বাংলাদেশের কয়জন নাস্তিক যৌন-স্বাধীনতাকে সমর্থন করে? আমি জানতে চাই।

      Delete
  3. একটা মেয়ে নাস্তিক হয়ে গেলেই আরেকটা নাস্তিক ছেলের সঙ্গে প্রেম করতে চায়, এরকম তো হয়না, বাংলাদেশের মেয়েরা নাস্তিক হওয়ার পরেও তারা রক্ষণশীলই থেকে যায়, যদিও তারা মুখ দিয়ে সমকামিতার পক্ষে কথা বলে, সমকামিতার পক্ষে কথা বলা মানে অবশ্যই প্রেম-যৌনতার ক্ষেত্রে উনি উদারপন্থী মনোভাব বজায় রাখবেন কিন্তু বাংলাদেশের সমাজে এমনটা দেখা যায়না, বহু নাস্তিক মেয়ে যৌনস্বাধীনতা বা নারীদের বিকিনি পরিধানকে অশ্লীল বলে চালিয়ে দেন, অভিজিৎ রায় সমকামিতার পক্ষে একটা বই লিখেছিলেন বলে বাংলাদেশী নাস্তিকেরা সমকামিতার পক্ষে কথা বলে, তবে এটা অনেক ক্ষেত্রে শুধুই লোক দেখানো, সত্যিকারের উদারপন্থী নাস্তিক মানুষ বাংলাদেশে এখনো তৈরি হয়নি।

    ReplyDelete
  4. ছেলে এবং মেয়ের মধ্যকার বন্ধুত্ব কিন্তু পশ্চিমা দেশসমূহে খুব ভালোভাবেই অনুমোদিত কিন্তু আমাদের মত পেছনে পড়ে থাকা রাষ্ট্রে ছেলেদের সঙ্গে মেয়েদের বন্ধুত্বের ওপরে দেয়া রয়েছে এক ধরণের নিষেধাজ্ঞা। মধ্যযুগীয় উগ্রপন্থী মানুষ মহাম্মাদ একজন কামুক লোক ছিলেন, তিনি নারীদের যৌনকামনাকে অবদমিত করে রাখার সব ধরণের ব্যবস্থা করে গিয়েছিলেন। নারীদের জন্য চালু করে গিয়েছিলেন বোরকা/পর্দা প্রথা, যার উদ্দেশ্য হচ্ছে ছেলেদেরকে নিজের চেহারা-শরীর দেখতে না দেয়া এবং ছেলেদের সঙ্গে বন্ধুত্ব না করা, কোরআনের শুধু সূরা আল-মায়িদা (৫ নম্বর সূরার ৫ নং আয়াত দেখুন) ছাড়া অন্য কোথাও প্রেমের বিরোধিতা করে কিছু বলা হয়নি, মহাম্মাদের বানানো নীতিতে নারী হবে শুধুই একজন কর্মজীবী পুরুষের স্ত্রী, এভাবেই নারী তার যৌনচাহিদা পূরণ করবে,ইসলাম এটাই বলে, অথচ পুরুষদের জন্য দাসীর ব্যবস্থা ইসলাম রাখলেও নারীদের জন্য দাসের ব্যবস্থা রাখেনি, ইসলাম নারীদের শরীর সহ নারীদের সব কামনা-বাসনার উপরে দিয়ে রেখেছে একটি বড়ো নিষেধাজ্ঞা। নারীদের শরীর আমাদের দেশের সমাজে ট্যাবু, নারীদের বক্ষবন্ধনী ট্যাবু, নারীদের জাঙ্গিয়া ট্যাবু, অথচ বক্ষবন্ধনী-জাঙ্গিয়া এগুলো মানুষের জন্য খুবই দরকারী, নারীদের ঋতুস্রাব হলে তাদের জাঙ্গিয়া পরতেই হবে যেমন পশ্চিমা দেশগুলোতে নারীরা ছোটোবেলা থেকেই জাঙ্গিয়া পরা শিখে রাখে যেটা তারা বড়ো হবার পরেও চালু রাখে। ইসলাম নারীদের জন্য বোরকা ছাড়া অন্য কোনো পোশাকের ব্যবস্থা রাখেনি, পুরুষ শার্ট-প্যান্ট পরলে মুসলমান দেশগুলোতে সাজা দেয়া হয়না, কিন্তু নারীরা শার্ট-প্যান্ট বা শর্ট প্যান্টস বা লেহেঙ্গা পরলে মুসলমান সমাজ (পুরুষতান্ত্রিক সমাজ) ক্ষেপে যায় নারীদের বিরুদ্ধে।


    আমাদের দেশের সমাজে চালু আছে পুরুষতান্ত্রিক বিয়ে, আবার যেই প্রেম-ভালোবাসা চলে ঐটাও পুরুষতান্ত্রিক। যদিও প্রেম করে বিয়ে করলে আমাদের সমাজ সৌদি আরব, ইরান বা ইয়েমেন বা কাতার বা সংযুক্ত আরব আমিরাতের মত সাজা দেয়না, কিন্তু আমাদের সমাজে প্রেম করতে সবসময়ই নিরুৎসাহিত করা হয়, পুরুষতন্ত্রবাদী বিয়ে অর্থাৎ এ্যারেঞ্জ ম্যারিজের পক্ষে প্রচারণা চালানো হয় যেখানে পুরুষ থাকবে কর্মজীবী আর নারী সাধারণত বেকার এবং হবে গৃহিণী আর মা (সুমাতা)।


    হুমায়ুন আজাদ তার 'নারী' বইতে নারীদেরকে সকল ধরণের রক্ষণশীলতার চাদর থেকে বের করে আনার কথা বলেছেন। যারা বইটি মনোযোগ দিয়ে পড়েছেন তারা এটাও আবিষ্কার করবেন যে উনি 'প্রেম ও কাম' অধ্যায়তে নারীদের যৌন-স্বাধীনতার পক্ষে কথা বলেছেন (যারা বইটি পড়েননি তাদেরকে পড়তে বলছি, এবং ২২৩ পাতায় 'প্রেম ও কাম' অধ্যায়টি রয়েছে)। এই যৌন-স্বাধীনতা মানে এই না যে স্বামীকে যৌনআনন্দ দেয়া এবং শুধু স্বামী দ্বারা নিজের যৌনচাহিদা মেটানো, যারা এমনটা ভাবছেন বা ভাবেন তাদেরকে বলে দিতে চাই তাহলে কি হলো? আপনারা তো ইসলামের পক্ষেই থাকলেন। নারীদের পোশাকের স্বাধীনতার ক্ষেত্রে যারা বলেন যে এতে নারী ধর্ষিত হতে পারে কিংবা হয়ে যাবে, তাই শাড়ী-সালোয়ারকামিজ এগুলোই ভালো, আরে শাড়ী-সালোয়ারকামিজ পরলে কি ধর্ষণ করা যায়না? ধর্ষণ তো পোশাকের উপর নির্ভরশীল নয় ধর্ষণ নির্ভরশীল যে পুরুষ নারীদেরকে দেখে তার মন-মানসিকতার ওপর কিংবা যে পুরুষ কখনো নারীসঙ্গ পায়নি তারা ধর্ষণ করতে পারে যেমন ইসলামী আইনভিত্তিক সমাজে ছেলেরা নারীদের সঙ্গে কথা বলার কখনো সুযোগ পায়না, নারীদের দেহ তাদের কাছে একটি নিষিদ্ধ এবং গোপন জিনিস হিসেবে থাকে, আবার মহাম্মাদীয় আইন-কানুন পড়ে (যেমনঃ সুন্নত পদ্ধতিতে স্ত্রী সহবাসের মাসায়েল) তারা নারীদের শুধুই স্বামীদের খাবার মনে করা শুরু করে, নারী একভাবে তাদের কাছে সুস্বাসু সিঙ্গাড়ার মত হয়ে যায়, যেখানে আলু-গরুর কলিজা সবই আছে, অন্যদিকে একটি পশ্চিমা দেশে যেমন ধরুনঃ কানাডা বা জার্মানীতে ছেলেরা ছোটো বেলা থেকেই মেয়েদের সঙ্গে মেশার সুযোগ পায়, ছোটো বেলা থেকেই তারা বিকিনি পরিহিত নারী দেখে, টিনএজ বয়সে তারা সহপাঠিনীর সঙ্গে যৌনক্রিয়ায় (অবশ্যই সহপাঠিনীর সম্মতি থাকে, কারণ পশ্চিমা দেশে যৌনতা কোনো নিষিদ্ধ এবং গোপন কোনো বিষয় নয় বা ট্যাবু নয়) জড়িয়ে পড়তে পারে, এভাবে নারীদেহ তাদের কাছে ভোগ্যবস্তু বা শুধুই স্বামীর জিনিস হিসেবে পরিগণিত হয়না, পশ্চিমা দেশগুলোতে নারীদের দেয়া রয়েছে পূর্ণ স্বাধীনতা, তাদের বিয়ে করতে অভিভাবকের অনুমতি লাগেনা,লাগেনা মোহরানা বা যৌতুক বা উপঢৌকন, প্রেম এবং যৌনতা যেখানে উন্মুক্ত সেখানে কোনো অশান্তি নেই।


    বাংলাদেশের প্রত্যেক নাস্তিক নারীপুরুষকে আমি আহ্বান জানাচ্ছি আপনারা হুমায়ুন আজাদের সব বই ভালো করে পড়ুন। তিনি যা বোঝাতে চেয়েছেন তা ভালো করে বুঝুন।

    ReplyDelete
  5. সূরা আল-মায়িদা ছাড়া কোরআনে প্রেমের বিরোধিতা অন্য কোনো সূত্র পাওয়া যায়না সত্য তবে ইসলাম প্রেম-ভালোবাসাকে এক ধরণের ব্যাভিচার হিসেবে দেখে, ইসলামী আইনে ব্যাভিচারের শাস্তি কি সেটা আস্তিক-নাস্তিক সবাই জানেন আপনারা।

    ReplyDelete
  6. ইসলাম ধর্ম মানুষের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক চাহিদা প্রেমের ওপর দিয়ে রেখেছে নিষেধাজ্ঞা, প্রেম-যৌনতা এগুলো মানবিক অধিকার, সমকামিতা মানুষের যৌনতার এক স্বাভাবিক প্রবৃত্তি, ইসলাম যৌনতার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা দিলেও বিবাহিত স্ত্রীকে বারবার গর্ভবতী বানানোর অনুমতি ঠিকই দিয়েছে। বোরকা-হিজাব দ্বারা নারীদেরকে করেছে একভাবে অবমাননা, নিজের স্বামী, বাবা, ভাই ছাড়া অন্য কোনো পুরুষের সঙ্গে মুসলিম নারীদের কথা বলা নিষেধ, তাদের সামনে পর্দা করার বিধান দেয়া হয়েছে। ইসলাম উপর দিয়ে একটি মানবাধিকার ধর্ম বলে বিবেচিত হলেও ভেতরে ভেতরে এটি নারী-স্বাধীনতা বিরোধী।

    ReplyDelete
  7. ইসলাম নারীদেরকে কোনো চাকরী করার অনুমতি দেয়না, ইসলাম নারীদেরকে পুরুষদের সঙ্গে ঠিকমত কথা বলতে দেয়না, ইসলাম নারীদের যৌনতাকে ভালো করে স্বীকৃতি দেয়না, ইসলাম নারীদের পোশাকের ক্ষেত্রে শুন্য স্বাধীনতা দিয়েছে, ইসলাম নারীদেরকে বাইরে ঘোরাফেরা করার পূর্ণ স্বাধীনতা দেয়নি। এরপরেও আপনারা বলবেন ইসলাম ভালো ধর্ম?

    ReplyDelete
  8. মনে রাখবেন প্রেম এবং যৌনতা যে দেশের সমাজে নিষিদ্ধ সেই দেশের সমাজে কোনো শান্তি নেই, রক্ষণশীলতা অমানবিক একটা মতবাদ, উদারপন্থী হন, নারীদেরকে ইচ্ছেমত পোশাক পরতে দিন, বিকিনির পক্ষে কথা বলুন, তাদেরকে বাইরে ইচ্ছেমত ঘোরাফেরা করারা স্বাধীনতা দিন, তাদেরকে প্রেম করার স্বাধীনতা দিন।

    ReplyDelete
  9. হুমায়ুন আজাদের বেশ কয়েকটি বইয়ের সংগ্রহ দেখুন এখানে http://www.amarboi.com/2012/10/humayun-azad.html পড়ুন, মানবিক এবং উদারপন্থী হন।

    ReplyDelete
  10. একটি সমাজে সত্যিকারের শান্তি আনয়নের লক্ষ্যে ছেলেদেরকে ছোটোবেলা থেকেই মেয়েদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে দেয়া জরুরী, মেয়েদেরও ছেলেদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করার জন্য এগিয়ে আসতেই হবে, মেয়েরাও মানুষ এটা বোঝানোর জন্য মেয়েদেরকেও এগিয়ে আসা জরুরী, ছেলেরা যাতে বড় হয়ে নারীদের দেহকে ভোগ্যবস্তু না ভাবে তাই টিনএজ বয়সে তাদের মেয়েদের সঙ্গে যৌনসম্পর্কে জড়িয়ে পড়তে হবে, সমাজে বিকিনি চালু থাকতে হবে, নারীদের সামরিক বাহিনী সহ সকল প্রতিষ্ঠানে পুরুষদের মত চাকরী করার সুযোগ রাখতে হবে, প্রেম করার স্বাধীনতা রাখতে হবে, দূর করতে হবে পুরুষতন্ত্রবাদী সকল কালাকানুন।

    ReplyDelete
  11. প্রেম করলে ইসলাম ওটাকে যিনা বা ব্যাভিচারের কাতারে ফেলে কারণ মহাম্মাদ ভালো করেই জানতেন যে প্রেম করতে গেলে তার ভেতরে যৌনতা থাকবেই, হ্যাঁ, থাকবেই তো, যৌনতাকে অস্বীকার করা যায়না, যৌনতা থাকবেই। মহাম্মাদ তো মেয়েদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করাটারই বিরোধিতা করতেন।

    ReplyDelete
  12. নারীদের কি যৌনকামনা নেই? থাকবেনা কেন? নারীরা কি মানুষ না? ওদের যৌনকামনা না থাকাটাই তো অস্বাভাবিক, হ্যাঁ, নারীদের যৌন-কামনা আছে, কিন্তু আমাদের দেশের মত একটি রক্ষণশীল এবং পুরুষতান্ত্রিক দেশে নারীদের যৌনতাকে অবদমিত করে রাখা হয়, নারীদের জন্য জাঙ্গিয়া পরা নিষেধ, জাঙ্গিয়া? এটা আবার কি? এটা তো ছেলেদের পোশাক - এরকমই চিন্তাভাবনা আমাদের দেশের সমাজের। এই দেশের সমাজে নারীরা আগে থেকে প্রেমের প্রস্তাব দিতে পারেনা একটা ছেলেকে, দিলে সে বেয়াদোব মেয়ে হিসেবে পরিগণিত হয়, কারণ সমাজটা পুরুষতান্ত্রিক, প্রেম এবং যৌনতা আশা করা হয় ছেলেদের কাছ থেকে, আর নারী? নারী থাকবে নিষ্ক্রিয়, সে শুধু পুরুষের প্রেমে হাবুডুবু খাবে এবং নিজের শরীর প্রেমিককে অবলীলায় দান করে দেবে, বিয়ের পর তো তার শরীরের মালিকানা পুরুষটি নিয়ে নেয়, অথচ একজন মানুষের শরীরের মালিক সে নিজে, সে নারী হোক আর পুরুষ হোক তার দেহের মালিক সে নিজে, হ্যাঁ এটাই আসল কথা, আমার শরীরের মালিক আমি নিজে, আমার প্রেমিকের বা প্রেমিকার শরীরের মালিক সে নিজে।

    ReplyDelete
  13. একটা মেয়ে টিনএজ বয়সী হলেই আমাদের সমাজ তার বুকের ওপর ওড়না নামের এক অবরোধ চাপিয়ে দেয়, অথচ উন্নত সভ্য রাষ্ট্রসমূহে নারীরা তাদের স্তনের উপরিভাগ (ক্লিভেজ) স্বাধীনভাবেই প্রদর্শন করতে পারে, সৌন্দর্য হচ্ছে প্রদর্শন করার জন্য, ঢেকে রাখার জন্য নয়, কিন্তু ইসলাম নারীদের চেহারাসহ পুরো দেহ ঢেকে রাখতে বলে বোরকা নামক এক বস্তার দ্বারা।

    ReplyDelete
  14. অনেক নাস্তিক আছেন যারা নারীদের জন্য রক্ষণশীল পোশাক শাড়ী বা সালোয়ার কামিজের পক্ষেই শুধু কথা বলেন, তাদেরকে বলতে চাই নারীদেরকে পোশাক পরার স্বাধীনতা দিন, এবং হুমায়ুন আজাদের 'নারী' বইটি ভালো করে পড়ুন।

    ReplyDelete
  15. http://www.amarboi.com/search/label/Humayun%20Azad এই লিংক থেকে হুমায়ুন আজাদের লেখা গুরুত্বপূর্ণ বইসমূহ ডাউনলোড করে নিন।

    ReplyDelete
  16. প্রেম করতে চান? আপনারা যারা ইসলাম ধর্মের অনুসারী তাদেরকে উদ্দেশ্য করে বলছি ইসলাম প্রেম-ভালোবাসার অনুমোদন দেয়না, প্রেম-ভালোবাসা স্বাধীনভাবে করতে চাইলে আপনাকে ইসলাম ধর্ম ত্যাগ করতে হবে, তবে অবশ্যই আপনাকে আগে জানতে হবে যে ইসলাম ধর্মটা কেন মিথ্যা, জানার জন্য আসিফ মহিউদ্দীন ভাইয়ের www.nastikya.com সাইট পড়তে পারেন, এছাড়াও রয়েছে মুক্তমনা ব্লগ যেখানে অনেক আগেই মহাম্মাদকে মিথ্যা নবী হিসেবে প্রমাণ করা আছে। জ্ঞান যেখানে সীমাবদ্ধ, যুক্তি যেখানে আড়ষ্ট, মুক্তি সেখানে অসম্ভব।

    ReplyDelete
  17. তোমার দিকে আসছি
    - হুমায়ুন আজাদ---সংকলিত (হুমায়ুন আজাদ)

    অজস্র জন্ম ধরে
    আমি তোমার দিকে আসছি
    কিন্তু পৌঁছুতে পারছি না।
    তোমার দিকে আসতে আসতে
    আমার এক একটা দীর্ঘ জীবন ক্ষয় হয়ে যায়
    পাঁচ পঁয়সার মোম বাতির মত।

    আমার প্রথম জন্মটা কেটে গিয়েছিলো
    শুধু তোমার স্বপ্ন দেখে দেখে,
    এক জন্ম আমি শুধু তোমার স্বপ্ন দেখেছি।
    আমার দুঃখ,
    তোমার স্বপ্ন দেখার জন্যে
    আমি মাত্র একটি জন্ম পেয়েছিলাম।

    আরেক জন্মে
    আমি ঘর ছেড়ে বেরিয়ে পরেছিলাম তোমার উদ্দেশ্য।
    পথে বেরিয়েই আমি পলি মাটির উপর আকাঁ দেখি
    তোমার পায়ের দাগ
    তার প্রতিটি রেখা
    আমাকে পাগল করে তোলে।
    ঐ আলতার দাগ,আমার চোখ,আর বুক আর স্বপ্নকে
    এতো লাল করে তুলে,
    যে আমি তোমাকে সম্পূর্ন ভুলে যাই
    ঐ রঙ্গীন পায়ের দাগ প্রদক্ষীন করতে করতে
    আমার ঐ জন্মটা কেটে যায়।
    আমার দুঃখ !
    মাত্র একটি জন্ম
    আমি পেয়েছিলাম
    সুন্দর কে প্রদক্ষীন করার।
    আরেক জন্মে
    তোমার কথা ভাবতেই-
    আমার বুকের ভিতর থেকে সবচে দীর্ঘ
    আর কোমল,আর ঠাণ্ডা নদীর মত
    কি যেন প্রবাহিত হতে শুরু করে।
    সেই দীর্ঘশ্বাসে তুমি কেঁপে উঠতে পারো ভেবে
    আমি একটা মর্মান্তিক দীর্ঘশ্বাস বুকে চেপে
    কাটিয়ে দেই সম্পুর্ন জন্মটা।
    আমার দুঃখ ,আমার কোমলতম দীর্ঘশ্বাসটি ছিল
    মাত্র এক জন্মের সমান দীর্ঘ
    আমার ষোঁড়শ জন্মে
    একটি গোলাপ আমার পথ রোধ করে,
    আমি গোলাপের সিঁড়ি বেয়ে তোমার দিকে উঠতে থাকি-
    উঁচুতে ! উঁচুতে !! আরো উঁচুতে !!!
    আর এক সময় ঝড়ে যাই চৈত্রের বাতাসে।

    আমার দু:খ মাত্র একটি জন্ম
    আমি গোলাপের পাপঁড়ি হয়ে
    তোমার উদ্দেশ্য ছড়িয়ে পরতে পেরেছিলাম।

    এখন আমার সমস্ত পথ জুড়ে
    টলমল করছে একটি অশ্রু বিন্দু।

    ঐ অশ্রু বিন্দু পেরিয়ে এ জন্মে হয়তো
    আমি তোমার কাছে পৌঁছুতে পারবনা;
    তাহলে ,আগামী জন্ম গুলো আমি কার দিকে আসবো ?

    ReplyDelete
  18. আমাকে ভালোবাসার পর - হুমায়ুন আজাদ

    আমাকে ভালবাসার পর আর কিছুই আগের মত থাকবে না তোমার,
    যেমন হিরোশিমার পর আর কিছুই আগের মতো নেই
    উত্তর থেকে দক্ষিণ মেরু পর্যন্ত।

    যে কলিংবেল বাজে নি তাকেই মুর্হুমুহু শুনবে বজ্রের মত বেজে উঠতে
    এবং থরথর ক’রে উঠবে দরোজাজানালা আর তোমার হৃৎপিন্ড।
    পরমুহূর্তেই তোমার ঝনঝন-ক’রে ওঠা এলোমেলো রক্ত
    ঠান্ডা হ’য়ে যাবে যেমন একাত্তরে দরোজায় বুটের অদ্ভুদ শব্দে
    নিথর স্তব্ধ হ’য়ে যেত ঢাকা শহরের জনগণ।

    আমাকে ভালবাসার পর আর কিছুই আগের মত থাকবে না তোমার।
    রাস্তায় নেমেই দেখবে বিপরীত দিক থেকে আসা প্রতিটি রিকশায়
    ছুটে আসছি আমি আর তোমাকে পেরিয়ে চ’লে যাচ্ছি
    এদিকে-সেদিকে। তখন তোমার রক্ত আর কালো চশমায় এত অন্ধকার
    যেনো তুমি ওই চোখে কোন কিছুই দ্যাখো নি।

    আমাকে ভালবাসার পর তুমি ভুলে যাবে বাস্তব আর অবাস্তব,
    বস্তু আর স্বপ্নের পার্থক্য। সিঁড়ি ভেবে পা রাখবে স্বপ্নের চূড়োতে,
    ঘাস ভেবে দু-পা ছড়িয়ে বসবে অবাস্তবে,
    লাল টুকটুকে ফুল ভেবে খোঁপায় গুঁজবে গুচ্ছ গুচ্ছ স্বপ্ন।

    না-খোলা শাওয়ারের নিচে বারোই ডিসেম্বর থেকে তুমি অনন্তকাল দাঁড়িয়ে
    থাকবে এই ভেবে যে তোমার চুলে ত্বকে ওষ্ঠে গ্রীবায় অজস্র ধারায়
    ঝরছে বোদলেয়ারের আশ্চর্য মেঘদল।

    তোমার যে ঠোঁটে চুমো খেয়েছিলো উদ্যমপরায়ণ এক প্রাক্তন প্রেমিক,
    আমাকে ভালবাসার পর সেই নষ্ট ঠোঁট খঁসে প’ড়ে
    সেখানে ফুটবে এক অনিন্দ্য গোলাপ।

    আমাকে ভালবাসার পর আর কিছুই আগের মত থাকবে না তোমার।

    আমাকে ভালবাসার পর আর কিছুই আগের মত থাকবে না তোমার।
    নিজেকে দুরারোগ্য ব্যাধিগ্রস্ত মনে হবে যেনো তুমি শতাব্দীর পর শতাব্দী
    শুয়ে আছো হাসপাতালে। পরমুহূর্তেই মনে হবে
    মানুষের ইতিহাসে একমাত্র তুমিই সুস্থ, অন্যরা ভীষণ অসুস্থ।

    শহর আর সভ্যতার ময়লা স্রোত ভেঙে তুমি যখন চৌরাস্তায় এসে
    ধরবে আমার হাত, তখন তোমার মনে হবে এ-শহর আর বিংশ শতাব্দীর
    জীবন ও সভ্যতার নোংরা পানিতে একটি নীলিমা-ছোঁয়া মৃণালের শীর্ষে
    তুমি ফুটে আছো এক নিষ্পাপ বিশুদ্ধ পদ্ম-
    পবিত্র অজর।

    ReplyDelete
  19. This comment has been removed by the author.

    ReplyDelete
  20. This comment has been removed by the author.

    ReplyDelete
  21. This comment has been removed by the author.

    ReplyDelete
  22. This comment has been removed by the author.

    ReplyDelete